ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিয়েছে বেঈমান মোশতাক-জিয়া, জয়

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ১৬-০৮-২০২৩ ০১:০৯:২১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০৮-২০২৩ ০১:১৩:৫৪ অপরাহ্ন
ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিয়েছে বেঈমান মোশতাক-জিয়া, জয় রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিয়েছে বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র। 
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

  বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্যপূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন। এই মানুষটির দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে মারাত্মক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ ছয় দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়, সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে। ৭১এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারও গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে, প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়। তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের ওপরে। ঠিক তখনই পুরোনো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইল ১৯৭১এ পরাজয়ের। ৭১এর পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিলে, পালানোর পথ করে দিলো, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো। জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন। শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকেরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেল রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র। আজ ১৫ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ